[ ডিস্ক্লেইমার : ইহা একটি মিনিংলেস অর্থহীন ছড়া। ]
গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে অটোয়ায় স্নো স্টর্ম হবার বিষয়টা পূর্ব নির্ধারিতই ছিলো। ওয়েদার নেটওয়ার্ক পূর্বাহ্নেই জানিয়ে রেখেছিলো নাগরিকদের। সুতরাং বাড়ি ফিরেছি সন্ধ্যা নামতেই। রাতে শুরু হলো সেই স্টর্ম। তুমুল বাতাসের বিপুল হুলুস্থুলের মধ্যে আকাশ থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বরফের পতন শুরু হলো ফুলের পাঁপড়ির আদলে। খানিক বাদেই সেটা বৃষ্টির আকারে নেমে তীব্র গতিতে উড়ে চললো দিক বিদিক। সড়ক মাঠ গাছপালা নেইবারহুড সাইডওয়াক বাড়ির ছাদ আর উন্মুক্ত পার্কিং স্পটে থাকা নানান রঙের গাড়িগুলো সব শাদা হয়ে হয়ে গেলো। যতোদূর চোখ যায় শাদা আর শাদা। কোথাও কোনো রঙ নেই।
রাস্তায় লোক নেই।
অনেকক্ষণ পর পর একটা গাড়ির দেখা মিলছে।
দেখতে দেখতে তীব্র শীত বরফঝড় আর পাগলা হাওয়ার তোড়ে বৃষ্টি ভেজা অটোয়া শহরটা কেমন জবুথবু হয়ে উঠলো। এইরকম স্নো-স্টর্মের তাণ্ডবের মধ্যেই জবুথবু একটা ছড়ার আইডিয়া বাইরে থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলো ল্যাপটপের কীবোর্ডে।
ঝটপট লেখার পরে দেখি মিনিংলেস বা অর্থহীন একটা ছড়া কীরকম জবুথবু হয়ে বিড়বিড় করছে।
আজকের ছড়াটা উৎসর্গ করছি প্রতিশ্রুতিশীল তরুণ ছড়াবন্ধু হিমাদ্রি হাবীবকে।
পাঠক বন্ধুদের উদ্দেশ্যে ছড়াটা এখানে উদ্ধৃত করছি–
জবুথবু ছড়া
লুৎফর রহমান রিটন
এক ছিলো জবু আর এক ছিলো থবু
শীত এলে দুজনেই হতো জবুথবু
দুজনেই শীত ভালোবাসতো যে তবু।
জবু আর থবু
ভেবেছিলো কভু?
একদিন দুজনের ভালোবাসা হবু?
থবু আর জবু
একসাথে রবু?
কে জবাব দেবে তার? দয়াময় প্রভু?
শেষমেশ জবু থবু কি করেছে কবু?
ভালোবেসে মরে গেছে হয়ে জবুথবু…
–”তুমি কি দেখেছো কভু”……?
অটোয়া
[ ছবি পরিচিতি : আমাদের দশতলা এপার্টমেন্টের বেলকনি থেকে তোলা অটোয়ার সকাল বেলার বরফ প্লাবিত নেইবারহুডের খণ্ডচিত্র। সারা রাতের জমে থাকা বরফের স্তুপ সিটির ক্লান্তিহীন দক্ষ কর্মীদের সম্মিলিত অভিযানে ততোক্ষণে অপসারিত হয়েছে। এবং শহরটি চলাচলযোগ্য হয়ে উঠেছে।
আলোকচিত্রী : শার্লি রহমান। ]