আমাদের অনেকের হয়তো মনে আছে বর্গীদের নিয়ে লিখা ছোট বেলায় পড়া কবিতার কথা।
খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো
বর্গী এলো দেশে।
বুলবুলিতে ধান খেয়েছে
খাজনা দেবো কিসে?
ধান ফুরুল, পান ফুরুল
খাজনার উপায় কী?
আর কটা দিন সবুর কর
রসুন বুনেছি।
সপ্তদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে মারাঠা সাম্রাজ্য থেকে আসা বর্গিদের অত্যাচারে বাঙ্গালীদের জীবন ছিল ত্রাহি ত্রাহি। এখন আর বাংলাদেশে অশ্বারোহী সেই বর্গী আক্রমন নেই, যদিও আছে শুধু ক্যাডার বাহিনীর হানা। জানিনা কবে শেষ হবে হানাহানি – কবে আসবে সুদিন।
এর উপর দেশে যোগ হয়েছে তাপদাহ!
শুনেছি ঢাকায় গরমে জীবন অতিষ্ট। পরাক্রম ক্ষমতাশালী এক চিফ হিট অফিসার নিযুক্ত করেও সামাল দেয়া যাচ্ছে না এই গরম। তাহলে সমাধান কি।
আসুন সবাই মিলে আরেকবার ভাবি – বাগান করি।
গত বছর বরফ পড়ার আগে আগে যে রসুন বুনেছিলাম – গতকাল দেখলাম তা অবিশ্বাস্য রকমের বড় হয়েছে। বরফ ঠাণ্ডায় রসুন ভালভাবেই বেঁচে থাকে এবং ফলনও খুব ভাল হয়।
উইন্ডসরের বাগান বিলাসী বন্ধুদের বলছি – এখনই ঘরে এবং বাইরে বীজ বুনার সঠিক সময়। ধনে , লালশাল, মূলা, ওলকপি সবই লাগাতে পারেন এখন। শীম বীজ, করল্লা, শসা, চাল কুমড়া, ঝিঙা, চিচিঙ্গা এসবের বীজও মাটিতে বসাতে পারেন এখনই ।
আমি যাদিও বীজ এবং চারা ঘরে লাগিয়ে বড় করার কাজটি ভাল পারিনা। আমার বউ এই কাজে বেশ পারদর্শী। কোন বীজ কতক্ষন পানিতে চুবিয়ে রাখতে হয়, ক’দিন জিপ-লক ব্যাগে ভেজা টিসু দিয়ে বায়ু-বদ্ধ করে রাখতে হয় সবই তার গবেষনার অংশ। আমি শুধু জানি বাইরে কিভাবে গাছ লাগাতে হয়।
আমাদের যে রোজসিটি গার্ডেনিং গ্রুপ আছে তাতে কেন জানিনা অনেকেই বাগান নিয়ে কোন আগ্রহ নেই। আমিও হয়ত তার বাইরে না। তবে মাঝে মাঝে বাগান নিয়ে গল্পের আসর বসালে কেমন হয় বলুন তো?