রবিবার - মে ১৯ - ২০২৪

কানাডায় শ্রমিক সংগ্রামের কাহিনী

শ্রমিকদের প্রতি এখন রাজনৈতিক নেতারাও সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দেন একটি কারখানা পরিদর্শনে প্রিমিয়ার ডগ ফোর্ড

কানাডা পুঁজিবাদী দেশ হওয়া স্বত্বেও, আর্থিক ব্যবস্থা অনেকটা জনকল্যাণে জীবনযাত্রা বা চহিদার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ করে ব্যাপৃত! দেখা যায় গণতন্ত্র এখানে সুপ্রতিষ্ঠিত, রাজনীতিবিদগণ মানুষের অধিকার নিয়ে ভাবেন। অতীতের দিকে তাকালে লক্ষ্য করা যায় এখানেও শ্রমিক সংগ্রাম ও সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম হয়েছে, শ্রমিক মর্মান্তিকভাবে আত্মাহুতিও দিয়েছিল।এমনই এক সংগ্রাম ও তার পীড়াদায়ক কাহিনী নিম্নে পাঠকদের জন্য তুলে ধরার প্রয়াস করেছি একথা ভেবে যে, সব দেশেই আন্দোলন সংগ্রামের স্বরূপ একই, শুধু রাজনীতিবিদরা আলাদা।

আলবার্ট গোডউইন (মে ১০, ১৮৮৭– জুলাই ২৭, ১৯১৮) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ কালীন সময়ে সৈন্যদলে যোগদিতে পারেনি বলে বনে লুকিয়েছিলেন তিনমাস। শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা এবং সমাজতন্ত্রবাদী ভাবতেই পারেননি কেন শ্রমিকরা নিজেরা মারামারিতে লিপ্ত, পুজিপতিরা যখন শুধু সম্পদ লুন্ঠনে ব্যস্ত।

- Advertisement -

পুলিশের কনস্টেবল ও এক হোটেল মালিক ডন কেম্বেল ভেনকুবার বদ্বীপের খনি শহর কাম্বারল্যান্ডের নিকট পাহাড়ে পলাতক গোডউইনকে দেখে ফেলে, যার দায়িত্বছিল শ্রমিকদের নিয়ে ফন্দিবাজকারী এই নেতার অনুসন্ধান। দেখার প্রথম মুহূর্তেই কেম্বেল রাইফেল চালায়, গোডউইনের মৃতদেহ মাটিতে ঢলেপড়ে, কেউ দেখেনি কোন সাক্ষী নেই, তারিখ ২৭জুলাই, ১৯১৮ সাল। মেরে ফেলা হয়েছিল নাকি গোডউইন শহিদ হয়েছিলেন।

আলবার্ট জিনযার গোডউইন মারা যাওয়ার দিন তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৩১ বছর, যিনি জীবনের অর্ধেকের বেশী সময় কাটিয়েছেন কয়লা খনিতে।

পিতাকে অনুসরণ করে ১২ বছর বয়সেই গোডউইন খনির কাজে যোগদেন। প্রথমত ইংল্যান্ডের ইয়র্কসায়ারে, ছোটছোট ঘোড়াচালিত গাড়িতে করে খনির গর্ত থেকে কয়লা উপরে নিয়ে আসা ছিল তার কাজ। তার বয়স যখন ১৫, কয়লা শ্রমিকরা দুই বছর যাবৎ ধর্মঘট করে, ন্যায় সংগত অধিকারের জন্য। মালিক পক্ষ গোডউইন সহ সব ধর্মঘটকারী শ্রমিক পরিবারকে কোম্পানির দেয়া নোংরা বাসস্থান থেকে বহিষ্কার করে।

এবার সে ভাবল কানাডাতে ভাল সুযোগ হতে পারে। ১৯ বছর বয়সে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে এসে উত্তর নোভা স্কোশিয়ার গ্লেইসবেতে এক কয়লা খনিতে যোগ দিয়েছিলেন গোডউইন। নতুন দেশ কিন্তু একই সংগ্রাম। ১৯০৯ সালে শ্রমিকরা এখানে ইউনিয়ন করার অধিকারের তিক্ত লড়াইতে ধর্মঘট শুরু করে, আবারো সেই উচ্ছেদ ও বুভুক্ষা।

গোডউইনের জীবন ধর্মঘট, উৎখাত, ক্ষুধা ও আকাঙ্ক্ষা নিয়ে চলছিল, ১৯১০ সালে এসে আবারো অবস্থান পরিবর্তন, এবার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার পূর্ব-কোটেনা অঞ্চলে এবং সর্বশেষ কাম্বারল্যান্ড শহরে। শহরটি বস্তুত কয়লাখনির উপরেই অবস্থিত। পাহাড় এবং কোমোক্স হিমবাহ কয়েক মাইল দূরে জর্জিয়া জলপ্রণালীর একপ্রান্তে দৃষ্টিগোচর। সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশে, কিন্তু  গোডউইনের দেখা খনি গুলোর মাঝে এটি ছিল সবচাইতে ঝুঁকিপূর্ণ। মিথেইন গ্যাস নিষ্কাশিত হত পাথরের ফাটলদিয়ে। বিষ্ফোরণ ও আগুন কয়েক দফায় মারাত্বক ক্ষতি সাধনকরে, ৯২ বছরের পরিচালনা সময়ে ২৯৫ জন মারাযায়, তার মাঝে ১৯০১ সালে একটি দূর্ঘটনায় ৬৪ জন প্রাণহারায়। খনি শ্রমিকরা প্রতিবারই গহ্বর থেকে কালোমুখ নিয়ে বেরিয়ে এসে সানন্দে মহাস্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলত।

গোডউইন শহরটি পছন্দ করতেন, বিশেষ করে পরিচ্ছন্ন সারিবদ্ধ কাঠের তৈরী কোম্পানির দেয়া বাড়িঘর, তারপাশে মেরামতহীন চীনাটাউন ও জাপানটাউন, প্রায় ৪৩০ জন এশিয়ান খনি শ্রমিকের বাসস্থান। তিনি নামজাদা ফুটবল খেলোয়াড় ছিলেন এবং স্থানীয় দলকে সম্মান জনক স্থানে পৌঁছে দিয়েছিলেন। কিন্ত ১৯১২ সালে বেশ বড় শ্রমিক সংগ্রাম শুরু হয় খনিতে, এই সময় গোডউইন সমাজতন্ত্রবাদী ও ইউনিয়ন নেতা হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। দুই বছর দীর্ঘ এই ইউনিয়ন করার স্বীকৃতি আদায়ের দাবী প্রত্যাখান হয়, কারন দেখানো হয়েছিল বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন তাই উৎপাদন নির্ধারিত ভাবে হওয়া চাই। গোডউইনের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারি রাখা হয়, তাকে খনি কোম্পানি গুলো অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিবলে ঘোষণা দিয়েছিল।

তার বয়স তখন ২৯, দেখতে ছোটখাট তবে প্রত্যয়ে দৃঢ়। তিনি স্থির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে সমাজতন্ত্র ও ইউনিয়নই শ্রমজীবী মানুষের ভাল জীবন মানের চাবিকাটি। গোডউইন ছিলেন একাধারে আন্দোলনকারী, সুবক্তা ও সক্ষম নেতৃত্ব দানকারী। তাকে নির্বাচিত করা হয়েছিল ইউনিয়নের সেক্রেটারী এবং ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার শ্রমিক ফেডারেসনের সহ-সভাপতি। ১৯১৬ সালে গোডউইন সোশালিস্ট পার্টির ব্যানারে এম.এল.এ পদের জন্য নির্বাচনে অংশ নেন, ইহা কোন প্রতীকি লড়াই ছিলনা, তিনি নিজ পার্টির মাঝেও সব চাইতে বেশি ভোট নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন।

কিন্তু আর একটি বিসম্বাদ সামনে এসে দাঁড়ালো। ইউরোপের যুদ্ধ দুই বছর অতিক্রান্ত, নিত্য নতুন অস্ত্রের ব্যবহারের ফলে সৈন্যদের ট্রেন্সে আহত ও নিহতের সংখ্যা বিশাল অংকে বাড়ছিল। কানাডীয় ফেরত আসা সৈন্যরা ভয়ঙ্কর যত কাহিনী শোনাচ্ছিল। ফলে স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে যুদ্ধে যাওয়ার লিষ্টে লিখানো নাম কমছিল, যখন বরং বেশি সৈন্যের প্রয়োজন জরুরী ছিল। তাই ১৯১৭ সালে বাধ্যতামূলক যুদ্ধে সৈন্য নেয়ার লিস্ট তৈরির আদেশ দেয়া হয়। গোডউইন যুদ্ধের বিরুদ্ধে ছিলেন, স্বাস্থ্যও ভাল ছিল না এবং অব্যাহতি পেতে দরখাস্ত দিলে, ডাক্তার পরীক্ষা করে যুদ্ধের অনুপযোগী ঘোষণা করেন তাকে, দাঁত ও পাকস্থলীর সমস্যা ছিল বলে। ফলে তিনি সৈন্য নিয়োগ থেকে প্রথমত রেহাই পান। দুই সপ্তাহের মাঝে খনিতে গোডউইনের নেতৃত্বে পুনঃ ধর্মঘট শুরু হলে, তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা পুনর্মূল্যায়ন করে যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

মালিকপক্ষ চেয়েছিল ইউনিয়ন নেতাকে কৌশলে আন্দোলনের পথ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া। সৈন্য নিয়োগকারীরাও বেপরোয়া ছিল নিয়োগের ব্যাপারে। কিন্তু গোডউইন ধরা না দিয়ে আত্মগোপনে চলে গিয়েছিলেন। নিয়োগকারীরা তাকে আর খোঁজে পায়নি। তারসাথে আরো অনেকে নিয়োগ আদেশ অমান্যকরে কাম্বারল্যান্ডের পাহাড়ে পালিয়েছিল, জোয়ি নেয়র (গোডউইনের পরামর্শদাতা) নামে সোশালিস্ট নেতার সহায়তায়।

অন্যদিকে কর্তৃপক্ষ পুলিশকে আদেশ দিয়েছিল পলাতক সবাইকে খুঁজে আনতে। পুলিশ তিন মাস চেষ্টা করেও কাউকে ধরতে পারেনি। তখন অনুসরণকারী বিশেষ পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ করা হয়, যেমন ডন কেম্বেল, অত্যন্ত দক্ষ বন জঙ্গলে শিকারী। ২৭ জুলাই ১৯১৮ কেম্বেল গোডউইনকে পাহাড়ে দেখতে পায়, আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে গোডউইনও রাইফেল দেখিয়ে তার জবাব দেয় (কেম্বেলের উক্তি), সঙ্গে সঙ্গে গুলি চলেছিল, মৃত্যুর কোলে ভূলুন্ঠিত হয়ে পড়ে সংগ্রামী নেতা। কেম্বেল তাকে হত্যা করেছিল।

গোডউইনের বন্ধুরা এবং ইউনিয়নের সহযোগীরা কেম্বেলর কথা বিশ্বাস করেনি, সবাই প্রণোদিত ছিল যে কেম্বেল স্বেচ্ছাকৃতভাবে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কর্তৃপক্ষও একইভাবে সন্দিহান হয়েছিল। ৩১ জুলাই, ১৯১৮ কেম্বেলকে এরেস্ট করে ভিক্টোরিয়া নিয়ে যাওয়া হয়। তাথাপি উদ্ভূত উত্তেজনার নিরসন হয়নি শ্রমিকদের মাঝে। কাম্বারল্যান্ডে খনি বন্ধ হয়ে যায়, প্রকাণ্ড শোভাযাত্রা গোডউইনের কফিন অনুসরণ করে সমাধিস্থলে গিয়েছিল।

সেদিন ভেনকুবারে ইউনিয়ন নেতারা সর্বাত্মক সাধারণ ধর্মঘট ডেকেছিল, সেই সময় প্রায় ৫,৫০০ জন শ্রমিক, (বন্দর শ্রমিক ও জাহাজ নির্মাণকর্মী সহ) কাজ ছেড়ে ধর্মঘটে যোগ দেয়। ইহা একটি অত্যন্ত তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ দিনে পরিণত হয়েছিল, কারণ বিশ্বযুদ্ধ থেকে ফিরে আসা সৈনিকরা ধর্মঘট সমর্থন করেনি এবং নেতৃবৃন্দদের বিশ্বাসঘাতক এবং রাজদ্রোহী বলে অভিযোগ করেছিল।

সপ্তাহ পরে কেম্বেলকে আদালতে বিচারের কাঠগড়ায় আনা হয়। বিচারকরা দেখতে চেয়েছিল হত্যার পর্যাপ্ত সাক্ষ্য প্রমাণ রয়েছে কিনা। শুনানিতে দেখা গিয়েছিল যে গোডউইনের হাতের কব্জি ভেদ করে গুলিটি তার ঘাড়ে ঢুকে, ইহা ইঙ্গিত করে যে রাইফেল তোলা হয়েছিল কেম্বেলকে লক্ষ্য করে। আবার এমন প্রত্যক্ষ প্রমাণও পাওয়া গিয়েছিল, “কেম্বেলকে বলতে শুনা গেছে পলাতকদের গুলিকরে মারা চাই”।

বিচারকগণ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিলেন যে সাক্ষ্য প্রমাণাদি সঙ্গতভাবে কেম্বেলের বিচারের বিধান দেয়। কিন্তু তিন মাসের মাথায় অক্টোবরে গ্র্যান্ড জুরি একই সাক্ষ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করে বিপরীত সিদ্ধান্ত দেয়। বিচার আর হলো না, মুক্ত হয়ে স্বাধীন কেম্বেল কোর্ট থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল।

আজ শতবর্ষ পরেও শহীদ আলবার্ট গোডউইন ব্রিটিশ কলাম্বিয়া তথা কানাডায় শ্রমিক সংগ্রামের প্রতীক হয়ে রইলেন, কাম্বারল্যান্ডের জাদুঘর তার কীর্তি বহন করে।

বাংলাদেশেও সমাজতন্ত্রের আন্দোলন হয়েছে, মনে পড়ছে আমি ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র থাকাকালীন ঢাকাতে ছাত্র আন্দোলনের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম, বিশেষ করে ১৯৬৯-৭০ সনে স্বাধীনতা সংগ্রামে ছাত্র ঐক্য পরিষদের গনবিক্ষোভ যখন উত্তাল ও তুঙ্গে। তখন প্রিন্ট ও মিডিয়া উন্নত ছিল না বিধায় হাতে লেখা পোষ্টার সংগ্রামী কার্যক্রমের বিশেষ অংশ ছিল এবং আন্দোলনের গতি প্রকৃতি নির্ধারণকারী শ্লোগান লেখা ও ডিস্ট্রিবিউসনের দায়িত্ব পালন করেছি। সে কারনে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র কত হাজার বার মুখে শ্লোগান দিয়ে গলা ফাটিয়েছি বা পোস্টারে বারংবার লিখেছিলাম তার ইয়ত্তা নাই।

১৯৭১, ৭ই মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের প্রত্যক্ষ দর্শক-শ্রোতা ছিলাম বলেও নিজেকে গর্বিত মনে করি। বঙ্গবন্ধুর মুখেও বহুবার সমাজতন্ত্র কথাটি শুনেছি এবং সংবিধানেও কথাটি সংযোজন করেছিলেন। যার মূলমন্ত্র এমন বিশ্বাস ছিল যে, রাষ্ট্র জনগণের ভাত, কাপড়, শিক্ষা, বাসস্থান এবং চিকিৎসা দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আজ দীর্ঘ চড়াই উতরাই পার হওয়ার পর বাংলাদেশের জনতা বিবেচনা করবেন সেই পোস্টার, শ্লোগানের ভাষা বা ধ্বনি কতটা প্রতিধ্বনিত হয়েছে বা হচ্ছে।

শেষ জীবনে অভিবাসী হয়ে কানাডায় এসে পরিবার নিয়ে বাস করা শুরু করেছি ২০০৬ সাল থেকে, স্বল্প সময়ের মাঝে কানাডার রাজনীতি আর্থিক ব্যবস্থা কিছুটা নজরে পড়েছে। প্রথমেই দেখলাম ডাক্তার দেখা ফ্রি, হাসপাতালে (উচ্চমান সম্মত) যাওয়া ফ্রি, ৬৫ বছর বয়স হলে ঔষধও ফ্রি। পড়ালেখার (উচ্চ শিক্ষা) জন্য সরকারি অনুদান বা প্রয়োজনে লোন (যে কোন বয়সে) এমনকি ৬০ বছর বয়সের ঊর্ধ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে তাও ফ্রি। চাকুরিতে বিভিন্ন বেতন থাকলেও সরকারিভাবে সর্বনিম্ন বেতন নির্ধারিত। আবার সর্বনিম্ন বেতন কাঠামো এমন, যেকোন ব্যক্তি চাকুরি করলে মোটামুটি জীবন চলার মত।

অর্থাৎ যে সমাজতন্ত্রের শ্লোগান দিয়েছি, তার অনেক কিছুই এখানে প্রতিফলিত। অবাক হয়ে ভাবলাম একটি পুঁজিবাদী দেশে, আর্থিক এমন সুব্যবস্থা! কিছু ইতিহাস জানার চেষ্টা করলাম, দেখতে পেলাম গণতন্ত্রের অর্থ সুশাসন, মানুষের অধিকার। ইতিহাসের পাতা আরো বলে, এখানে লড়াই সংগ্রাম যেমন ছিল আত্মবলিদানও ছিল। কানাডার সরকার ও জনগণ আজ এদের প্রতি সদা শ্রদ্ধাশীল।

স্কারবোরো, অন্টারিও, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent