শনিবার - এপ্রিল ২৭ - ২০২৪

ফরিদুর রেজা সাগর সত্য তথ্যটি তুলে ধরেছেন

বাংলাদেশের সংবাদ কর্মীরা সঠিক সংবাদ সংগ্রহে কতোটা ব্যর্থ সাদি মহম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর শিক্ষা বিষয়ক ছোট্ট একটি সংবাদে তা প্রকট হয়ে উঠেছে

বাংলাদেশের সংবাদ কর্মীরা সঠিক সংবাদ সংগ্রহে কতোটা ব্যর্থ, সাদি মহম্মদের মৃত্যুর পর তাঁর শিক্ষা বিষয়ক ছোট্ট একটি সংবাদে তা প্রকট হয়ে উঠেছে।

সবচে’ অবাক ব্যাপার বিবিসি বাংলা পর্যন্ত ভুল সংবাদ পরিবেশন করেছে। “দেশ রূপান্তর” পত্রিকাতো রীতিমত বানোয়াট হেডিং দিয়েছে! তবে ইত্তেফাকে লেখা নিবন্ধে ফরিদুর রেজা সাগর সত্য তথ্যটি তুলে ধরেছেন।

- Advertisement -

সামান্য ভুল তথ্য হয়তো দেশের আর্থিক বা সামাজিক শৃঙ্খলার ক্ষতি করেনা। কিন্তু এমন ভুল যদি ব্যাংক সেক্টর বা রাজনৈতিক উস্কানির হয় তখন পরিস্থিতি কি হতে পারে? মিডিয়ার উপর মানুষ আস্থা হারাবে না কেনো?

পত্রিকাগুলো অনুসন্ধানে পেয়েছে সাদি মহম্মদ বুয়েটে ভর্ত্তি হয়েছিলেন। এ তথ্য কোথায় পেলেন তাঁরা? তিনি ১৯৭৩ সালে (খুপ্রম দ্বিতীয় ব্যাচ) খুলনা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ভর্ত্তি হয়েছিলেন। বর্তমানে যা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বা KUET। এখানে প্রথম বর্ষে পড়াকালীন ভারত সরকারের বৃত্তি নিয়ে তিনি শান্তি নিকেতন চলে যান। কুয়েটে থাকাকালীন তিনি লালন শাহ হলের ২১১ নম্বর কক্ষে ছিলেন। আমি নিজে এ হলের আবাসিক ছাত্র ছিলাম।

কিছু পত্রিকায় আবার বলা হয়েছে তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়েছেন। অথচ আমার জানামতে সেসময় সম্মিলিত ফার্স্ট ইয়ার ছিলো। দ্বিতীয় বর্ষ থেকে ডিপার্টমেন্ট ভাগ হতো।

সংবাদ পত্রে প্রতিদিন অজস্র বানোয়াট সংবাদ পরিবেশিত হয়। কেবলমাত্র সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাই মিথ্যাটা ধরতে পারেন। বাকিরা সেই বানোয়াট সংবাদ বিশ্বাস করেন।

সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ, সাংবাদিকতার নীতিমালা মেনে চলুন। যেটুকু সত্য খুঁজে পান‘ সেটুকুই প্রকাশ করুন। সত্যের সাথে মিথ্যা মিশিয়ে সংবাদ বানাবেন না। প্লিজ!

মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে কারো প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা যায়না।

ব্রামটন, কানাডা

- Advertisement -

Read More

Recent