শেষ হয়ে আসছে ২০২২। অনেক কানাডিয়ানই বছরটিকে ২০২১ সালের তুলনায় ভালো বলতে পারছেন না। বরং, ২০২১ এর তুলনায় ২০২২ সালটি খারাপ কেটেছে বলেই মন্তব্য তাদের।
গত বছর সম্পর্কে মন্তব্য কী এবং ২০২৩ সালটি কেমন হবে? কানাডিয়ানদের কাছে ডিসেম্বরের শুরুতে এই প্রশ্ন রেখেছিল জরিপ প্রতিষ্ঠান লেজার। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩১ শতাংশ কানাডিয়ানের ধারণা হচ্ছে, এ বছরটা গত বছরের চেয়ে খারাপ গেছে। তবে ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ ভালো কেটেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ২১ শতাংশ কানাডিয়ান। দুটি বছরই একইরকম কেটেছে বলে জানিয়েছেন ৪৬ শতাংশ কানাডিয়ান। এ ব্যাপারে জানেন না বা এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি সমীক্ষায় অংশ নেওয়া অবশিষ্ট ৩ শতাংশ কানাডিয়ান।
৯ ডিসেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে পরিচালিত সমীক্ষাটিতে অংশ নেন মোট ১ হাজার ৫২৬ জন কানাডিয়ান। লেজারের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিয়ান বোর্ক বলেন, ২০২১ ছিল মহামারির বছর, যখন আপনার তেমন কিছু করার ছিল না। প্রত্যেকেই ধারণা করেছিলেন যে, ২০২২ সাল ভালো কাটবে। গত বছর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ উঠে যাওয়ার মানুষ স্বাভাবিকতায় ফিরতে শুরু করে। কিন্তু নতুন দুশ্চিন্তা হিসেবে আবির্ভুত হয় মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি। ২০২২ সাল ভালো না কাটার পেছনে এগুলোকেই কারণ হিসেবে দেখছেন কানাডিয়ানরা।
তিনি বলেন, ২০২২ সাল সম্পর্কে যারা নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছেন তাদের বেশিরভাগের বয়স ৫৫ বছর ও তার বেশি। তারা সুনির্দিষ্ট আয়ের ওপর নির্ভরশীল এবং কীভাবে খাবারের জোগাড় হবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকেন। এছাড়া তাদের বেশিরভাগের বসবাস আটলান্টিক কানাডা ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায়, যেখানে আবহাওয়াগত বড় ধরনের দুর্যোগের অভিজ্ঞতা হয়েছে।
২০২৩ সাল কেমন যাবে? এই প্রশ্নে কানাডিয়ানদের মনে সবার আগে উঁকি দিচ্ছে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণ। কোন ঘটনা তাদেরকে সবচেয়ে বেশি উদ্বিগ্ন করেছে? এই প্রশ্নের উত্তরে ৮৬ শতাংশ কানাডিয়ান উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার ও পণ্য মূল্যের কথা উল্লেখ করেন। অর্থনৈতিক মন্দা নিয়ে ভয় পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন সমীক্ষায়র অংশ নেওয়া ৮১ শতাংশ কানাডিয়ান।
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৭২ শতাংশ কানাডিয়ান। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে প্রধান উদ্বেগ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ৬৮ শতাংশ অংশগ্রহণকারী। কোভিড-১৯ এর প্রসঙ্গ এলে মাত্র ৫২ শতাংশ কানাডিয়ান একে উদ্বেগের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। বরং ভিন্ন ধরনের আরেকটি ভাইরাস নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৭ শতাংশ কানাডিয়ান।