সিরিয়ার ক্যাম্পে আটক ছয় কানাডিয়ান ও ১৩ শিশুকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সহায়তা করতে ফেডারেল সরকার সম্মত হয়েছে বলে তাদের একজন আইনজীবী জানিয়েছেন। আইনজীবী লরেন্স গ্রিনস্পন বলেন, ১৯ কানাডিয়ানকে প্রত্যবাসনের ব্যাপারে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার সঙ্গে গ্রহণযোগ্য সমঝোতা হয়েছে।
যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের কুর্দি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত সিরিয়ার ক্যাম্পে যেসব বিদেশি আটক আছেন এই কানাডিয়ানরা তাদের অন্যতম। ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্তের কাছ থেকে অঞ্চলটি পুনরুদ্ধার করেছে কুর্দি বাহিনী।
নারী ও পুরুষ এবং ওই চারজনের পরিবারের সদস্যরা ফেডারেল কোর্টে এই যুক্তি তুলে ধরেন যে, ফেডারেল সরকারকে অবশ্যই তাদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে। তা না করলে সেটা হবে চার্টার অব রাইটস অ্যান্ড ফ্রিডমসের লঙ্ঘন।
এক সাক্ষাৎকারে গ্রিনস্পন বলেন, নতুন চুক্তির ফলে ছয় নারী ও ১৩ শিশুর আবেদন বাতিল হয়ে গেছে। কিন্তু চারজনের মামলাটি আদালতের সামনে রয়েছে।
এই চার ব্যক্তির একজন জ্যাক লেটস। তার সহায়তায় ফেডারেল সরকার যাতে এগিয়ে আসে সেজন্য তার বাবা-মা রীতিমতো প্রচারণা চালিয়েছেন। বিচারক হেনরি ব্রাউন এ বছরের প্রথম দিকেই এ ব্যাপারে রায় দেবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
একজন নারী ও দুইজন তরুণীর মামলাও স্থগিত হয়ে গেছে। কারণ, তারা উত্তরপূর্ব সিরিয়ার কোনো ক্যাম্পে এখন আর আটক নেই এবং বর্তমানে তারা কোথায় আছেন তাও অজানা।
কিম্বারলি পলম্যানও এই মামলার অংশ এবং গত অক্টোবরে তাকে কানাডায় প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। ফলে তার মামলাটি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান গ্রিনস্পন। তিনি বলেন, সরকারের সঙ্গে নতুন যে সমঝোতা হয়েছে তা বিশেষ করে কবে নাগাদ এই ১৯ কানাডিয়ানকে ফিরিয়ে আনা হবে তা গোপন রাখা হয়েছে। কারণ, দিনক্ষণ প্রকাশ করে দিলে তা নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
এ ব্যাপারে গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার বক্তব্য চাওয়া হলে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি। গ্রিনস্পন বলেন, ফেরার অপেক্ষায় থাকা বন্দীদের ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে আমার জানা নেই।
আইএসআইল সদস্যকে বিয়ে করা পলম্যান ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় বিচারাধীন একটি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন। এই নারীদের কেউ যদি কোনো ধরনের অন্যায় করে থাকেন তাহলে তাদেরকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে বলে জানান গ্রিনস্পন। তিনি বলেন, তবে তারা কারা এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারছি না। কোন নারী বিচারের মুখোমুখী হতে যাচ্ছেন সে ব্যাপারে আমাদের কোনো ধারণা নেই।