কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভিসা আবেদন প্রক্রিয়াকরণ পদ্ধতি নমনীয় করার জন্য কানাডা ইমিগ্রেশন সিস্টেমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ভ্রমণকারীদের স্বল্পমেয়াদি ভিসার ক্ষেত্রে বাড়তি সময় থাকার দিকে কম মনোযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শুক্রবার তিনি বলেন, সাময়িক ভিসা নিয়ে আমরা আরও উন্নত কিছু করার চেষ্টা করছি। ‘আপনি আসার পর এখানে থাকবেন না, সেটা প্রমাণ করুন’। সত্যি কথা বলতে পদ্ধতিটি এখনো এটার ওপর ভিত্তি করে চলছে। দেশে যদি তাদের ভালো একটা চাকরি ও বাড়ি থাকে তাহলে অভিবাসন কর্মকর্তাদের ভিসার ব্যাপারে রাজি করানোটা তাদের পক্ষে খুব সহজ। অন্যদিকে পারিবারিক কারণে যেসব লোকজনের সত্যিই কানাডা আসা প্রয়োজন, তাদের ক্ষেত্রে কর্মকর্তাদের মনে এই ধারণা তৈরি হয় যে, তারা হয়তো বেশি সময় পর্যন্ত এখানে অবস্থান করবেন। আপনার মা যদি বলেন, তিনি আপনাকে কতটা ভালোবাসেন এবং সেখানে (কানাডায়) থাকতে চান এবং তারপরও আপনি একা তাহলে সেটা ভয়ের।
অটোয়ায় প্রায় অ্যালগনকিন কলেজের ২৫ জন নার্সিং শিক্ষার্থীর সঙ্গে শুক্রবার ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের সময় এসব কথা বলেন ট্রুডো। তাদের অনেকেই জানান যে, তারা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী। ভিসা সমস্যার কথাও জানান তাদের মধ্যে কয়েকজন।
প্রশ্নোত্তর পর্বে একজন আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী সাত মাস হাসপাতালে থাকা ও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতার কথঅ শোনান। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, তাকে দেখার জন্য তার মা দুইবার ভিসার জন্য চেষ্টা করেছেন। কিন্তু প্রতিবারই আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
জবাবে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, অভিবাসন ব্যবস্থার সততার ব্যাপারে কানাডিয়ানদের আস্থা থাকাটা জরুরি। সেই সঙ্গে ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে তুলনামূক কম রক্ষণাত্মক কৌশল অবলম্বনের জন্য আমি রিফিউজিস অ্যান্ড সিটিজেনশিপ কানাডাকে বলে দিয়েছি। তার মায়ের ভিসা অনুমোদন না করে অভিবাসন বিভাগ ভুল কাজ করেছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।
আগামী মাসে মন্ট্রিয়লে অনুষ্ঠেয় কনফারেন্সে অংশ নিতে আগ্রহী কয়েক শ মানুষের ভিসা পেতে ভোগান্তির কথা প্রকাশ্যে তুলে ধরেছে ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ অ্যাসোসিয়েশন। প্লেন টিকিট, আয়ের তথ্য ও কনফারেন্সে অংশ নেওয়ার জন্য প্রদত্ত তহবিলের পক্ষে প্রমাণ দেখানোর পরও প্যানেলিস্টসহ অনেককে ভিসা দেওয়া হয়নি। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, কনফারেন্স শেষ হওয়ার পর তারা যে ফিরে আসবেন সে ব্যাপারে কোনো প্রমাণ তারা দেখঅতে পারেননি।