অনেকেই জানতে চেয়েছেন,ছড়ার বই “বউয়ের কাছে স্বামীরা সব গাধা ” সম্পর্কে।
আসলে কী স্বামীর সব গাধা?
নিশ্চয় না।
এটা একটা স্যাটায়ার ছড়ার বই।
মুল ছড়াটি কী?
অনেকে সেটাও জানতে চেয়েছেন। বলেছিলাম,বই কিনে পড়ুন, জানতে পারবেন।
এক বয়স্ক ব্যক্তি রীতিমতন হুমকি দিয়েছেন, লেখাটি তাকে ইনবক্স না করলে দেখে নিবেন।
সম্ভবত উনি তার প্রিয়তমার কাছে উঠতে বসতে ঝাড়ি খান। সেই ঝাল মেটাতে না পেরে আমার মতন গোবেচারা ছড়াকারকে সাইজ করা সহজ বলে দেখে নেয়ার হুমকি দেন।
হা হা হা
( বি:দ্র: উনার প্রতি সম্মান জানিয়ে বইয়ের নামকরণ ছড়াটি নীচে তুলে দিচ্ছি।)
আমার পাশের এলাকার জনপ্রিয় কাউন্সিলর খন্দকার মাকসুদুল আলম খোরশেদ সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, “প্রিয় রনি ভাই, তার দীর্ঘ গবেষণার পরে পৃথিবীর সবচেয়ে সত্যি কথাটা আবিস্কার করেছেন।… পরে আশা করি রনি ভাই আরো কিছু সত্যি আবিষ্কার করবেন ইনশাআল্লাহ।”☺
ভাই রে, এটা জানার জন্য গবেষনার কী দরকার? আশেপাশে ভাবী,আপাদের কথোপকথনে জানা যায়, “আমার বরের বুদ্ধিশুদ্ধি কম, পুরাই গবেট। তেলবাজি জানে না। আপনার বর কত স্মার্ট, তরতরিয়ে কত প্রমোশন পেয়ে গেল! ”
কি বুঝলেন!
বইয়ের নামকরণ দেখে আত্মসম্মানে ঘা লেগেছে অনেকের। এরা পারলে আমাকে চিবিয়ে খায়। বেশ ক’জন উষ্মা প্রকাশ করে ইনবক্সে আমাকে ঝেড়েছেন। একজন লিখেছেন, Sorry that is not for me. Tell others.
আমিও বলি, আপনি অতি স্মার্ট,তাই বুঝতে পেরেছেন ,
এই বই আপনার জন্য নয়।
হা:হা:হা:
‘বউয়ের কাছে স্বামীরা সব গাধা ‘ ছড়ার বইটি প্রকাশের পর নানাভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, অনেকে বইয়ের ছবি ভাইরাল করে দিয়েছেন। ম্যাক্সিমাম পাঠক লিখেছেন, ‘ সত্যি কথা কিন্ত লেখকের কি অবস্থা? ”
এ বিষয়ে আমার মন্তব্য নিস্প্রয়োজন।
শুধু এক ভাবীর কথা বলব। তিনি আমাকে বেশ ভাল চেনেন ও জানেন। তিনি তার ফেসবুকে বইয়ের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ” বেচারা রনিভাই! বিয়ের আগেই বিষয়টি মনে হয় ধরে ফেলেছেন। আর কী ছাদনাতলায় যাবেন? ”
যাহোক, এক বই নিয়ে পুরো ফেব্রুয়ারীজুড়ে অম্লমধুর অভিজ্ঞতা হল। সত্যি বলছি, আমি দূর হতে আপনাদের বক্তব্য / মন্তব্য উপভোগ করেছি। পাঠকের সমালোচনা, ভালবাসাই তো আমার অনুপ্রেরণা। যারা বই কিনেছেন, যারা নেড়েচেড়ে দেখেও কেননি, তাদেরসহ সবার জন্য শুভকামনা।
২৬.০২.২০২৪
মন্ট্রিয়েল
বউয়ের কাছে স্বামীরা সব গাধা!
মাসুদুল হাসান রনি
গোলমেলে সব কান্ড কেন হতেই হবে ছুটিরদিনে?
ঘরে থাকা দায় হয়েছে, ভাবছি, চলে যাব চীনে।
ঘটনা কী? জানতে চাইছেন ? দু:খের কথা বলবো কাকে?
( সকালের ঘুম হারাম হবে, যদি গায়িকা বউ থাকে।)
নিয়ম করে রোজ সকালে তিনি হারমোনিয়াম টেনে
রেওয়াজ করেন, ফ্ল্যাট বাড়ির সবাই গেছে জেনে
হেঁড়ে গলায় সারে গামা পা ধা নিসায় কন্ঠ সাধেন,
বেসুরো এই অত্যাচারে পড়শীদের কেউ হাসেন- কাঁদেন!
অন্যদিনে যেমন তেমন ছুটিরদিনে ভীষণ জ্বালা
গানের তোড়ে ঘুম ভেঙে যায় , আমার দু’কান ঝালাপালা
শ্যালক বসে তবলা বাজায় তেরে কেটে তাক তাক
ধি না…
এবার বলুন, দু’ভাই বোনের জলসা উপভোগ্য কি না?
উপায় নেই ভাই থাকব শুয়ে কানে গুজে দিয়ে তুলো
বেসুরো গান শুনলে রাগে দাঁড়িয়ে যায় মাথার চুলও।
বুঝি না ছাই এই বয়সে গলা সাধার আছে কোন মানে?
“গান গাওয়ার বয়স লাগে? দেখাও, লেখা আছে কোনখানে?
সত্যি তুমি হিংসুটে লোক, উৎসাহ নয়, দিচ্ছ কেবল বাঁধা
মাহফুজ যদি গাইতে পারে,আমি কেন পারবো নারে গাধা? “
১৫.১০.২০২৩
মন্ট্রিয়েল