অ্যালকোহল বহির্ভুত পানীয় প্রস্তুতকারকরা অন্টারিওর ভোক্তাদের ওপর আগামী মাসে নতুন রিসাইক্লিং ফি আরোপ করতে যাচ্ছে। কানাডিয়ান বেভারেজ কনটেইনার রিসাইক্লিং অ্যাসোসিয়েশন (সিবিসিআরএ) ১ জুন থেকে বেভারেজ কোম্পাইনগুলোর ওপর ফি আরোপ করতে যাচ্ছে। অধিকতর পরামর্শের জন্য সময় দেওয়ার কারণে পরিকল্পনার দুই মাস পরে এই ফি ধার্য্য করা হচ্ছে।
সিবিসিআরএ কোকাকোলা, লবল কোম্পানিজ লিমিটেড ও নেসলে কানাডার মতো বজ্যৃ উৎপানকারী বড় কোম্পানিগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। খাতটিই এতে অর্থায়ন করে থাকে। কারিগরিভাবে আইটেমপ্রতি এক থেকে তিন সেন্ট ফি দিতে হবে তাদের। রিসাইকেল এভরিহোয়ার নামের উদ্যোগটি অন্টারিও ব্লু বক্স রেগুলেশনের অংশ এবং এতে রিসাইক্লিং ব্যবস্থায় অর্থায়নের দায়িত্ব বর্জ্য উৎপাদনকারীদের ওপরই ন্যস্ত করা হয়েছে।
সিবিসিআর এ গত বছর সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেছিল, রিসাইক্লিং ব্যয় ভোক্তাদের ওপর দেওয়া হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার তাদের রয়েছে। পপ, জুস অথবা পানির বোতল কেনার সময় ভোক্তারা তাদের রশিদে এই ফি দেখতে পাবেন।
সিবিসিআরএ বলেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশ বেভারেজ কনটেইনার রিসাইক্লিংয়ে প্রদেশের যে প্রতিশ্রুতি তার অংশ হিসেবে তারা নতুন করে আড়াই লাখ রিসাইক্লিং বিন স্থাপন করবে।
ম্যানিটোবাও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে এবং দশ বছরের মধ্যে তাদের কনটেইনার রিসাইক্লিংয়ের হার ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭২ শতাংশে। উৎপাদকরা কি পরিমাণ ব্লু বক্স ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করছে তার ভিত্তিতে প্রদেশের রিসাইক্লিং উদ্যোগ পরিমাপ করা হয়ে থাকে।
তবে এই কর্মসূচি অন্টারিওর ৮০ শতাংশ রিসাইকিং লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা। প্লাস্টিকস অ্যাট এনভায়রনমেন্টাল ডিফেন্সের সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার কারেন উইরসিগ সিটিভি নিউজ টরন্টোকে বলেন, অন্টারিওর লক্ষ্যমাত্রা তাৎপর্যপূর্ণ। তবে বাস্তবে তা অর্জন করা যাবে না বলে বিশ^াস বিশেষজ্ঞদের।
উল্লেখ্য, নন-অ্যালকোহলিক বেভােেরজের ক্ষেত্রে ডিপোজিট-রিটার্ন প্রোগ্রাম আলবার্টা, সাস্কেচুয়ায়ন, কুইবেক ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় আগে থেকেই চালু আছে।